ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হারিয়ে যাচ্ছে মুরাদনগরের মৃৎশিল্প

pc muranagar 03-02-15
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

উন্নত প্রশিক্ষন না থাকায় উৎপাদিত পণ্যে নিত্য-নতুন কারুকার্য সংযোজন করতে না পারায় হারিয়ে যেতে বসেছে কুমিল্লার মুরাদনগরের মৃৎশিল্প। উপজেলার কামাল্লা, মাজুর, ঘোড়াশাল ও শ্রীরামপুর এলাকায় অবস্থান এ শিল্পের। ডিজিটাল যুগে স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা আগের সময়ের নকশা নিয়েই পড়ে থাকায়, প্লাষ্টিক ও এ্যালমুনিয়ামের তৈরি জিনিস পত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেনা।

মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর কুমার পাড়া ঘুড়ে ও মৃৎশিল্পিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ গ্রামের মৃৎশিল্পিদের পরিবারের সবাই হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও স্বচ্ছলতার মুখ না দেখায়, । এ শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখে তাদের নতুন প্রজন্মে বাব-দাদার প্রচিনতম পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ৬০/৭০ টি পরিবারের মধ্যে মাত্র ১৫/১৬টি পরিবার  এখনো বাপ-দাদার আদি পেশার ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। ঐ সব পরিবারদের এখন নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা।

pc muradnagar1 03-02-15

কিন্তু মাটির তৈরি জিনিসপত্রের তেমন চাহিদা না থাকা, নিত্য-নতুন নজরকড়া নকশা সংযোজন করতে না পারা ও উন্নত প্রশিক্ষনের অভাবে এ শিল্পটি হারিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মৃৎশিল্পিরা। এ পেশায় থাকা শিল্পিরা সরকারের তরপ থেকে উন্নত প্রশিক্ষন, ব্যাংক লোন ও গ্যাস সরবারাহের ব্যাবস্থা করলে তারা আবহমান বাংলার ঐতিহ্য এ শিল্পকে ধরে রাখতে পারবেন বলে জানান।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কায়কোবাদকে নিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের করা মন্তব্যের প্রতিবাদে মুরাদনগরে টানা দু’দিন বিক্ষোভ

হারিয়ে যাচ্ছে মুরাদনগরের মৃৎশিল্প

আপডেট সময় ০৭:৩৭:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

pc muranagar 03-02-15
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

০৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):

উন্নত প্রশিক্ষন না থাকায় উৎপাদিত পণ্যে নিত্য-নতুন কারুকার্য সংযোজন করতে না পারায় হারিয়ে যেতে বসেছে কুমিল্লার মুরাদনগরের মৃৎশিল্প। উপজেলার কামাল্লা, মাজুর, ঘোড়াশাল ও শ্রীরামপুর এলাকায় অবস্থান এ শিল্পের। ডিজিটাল যুগে স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা আগের সময়ের নকশা নিয়েই পড়ে থাকায়, প্লাষ্টিক ও এ্যালমুনিয়ামের তৈরি জিনিস পত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেনা।

মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর কুমার পাড়া ঘুড়ে ও মৃৎশিল্পিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ গ্রামের মৃৎশিল্পিদের পরিবারের সবাই হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও স্বচ্ছলতার মুখ না দেখায়, । এ শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখে তাদের নতুন প্রজন্মে বাব-দাদার প্রচিনতম পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ৬০/৭০ টি পরিবারের মধ্যে মাত্র ১৫/১৬টি পরিবার  এখনো বাপ-দাদার আদি পেশার ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। ঐ সব পরিবারদের এখন নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা।

pc muradnagar1 03-02-15

কিন্তু মাটির তৈরি জিনিসপত্রের তেমন চাহিদা না থাকা, নিত্য-নতুন নজরকড়া নকশা সংযোজন করতে না পারা ও উন্নত প্রশিক্ষনের অভাবে এ শিল্পটি হারিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মৃৎশিল্পিরা। এ পেশায় থাকা শিল্পিরা সরকারের তরপ থেকে উন্নত প্রশিক্ষন, ব্যাংক লোন ও গ্যাস সরবারাহের ব্যাবস্থা করলে তারা আবহমান বাংলার ঐতিহ্য এ শিল্পকে ধরে রাখতে পারবেন বলে জানান।